জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের

ডাক

চাই এক শোষণ মুক্ত জগৎ। চাই সবার জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, ও শিক্ষা। চাই সবার জন্য স্বাস্থ্য। জানি আমি চাইলেই এসব কিছু হওয়ার নয়। হতে পারে সমাজ পরিবর্তনের সংগ্রামে। সেই সংগ্রামের যারা অগ্রণী বাহিনী সেই শ্রমিক শ্রেণী এবং শ্রমিক শ্রেণীর দৃঢ় মিত্র কৃষকদের পাশে থেকে স্বাস্থ্যের কাজ করার চেষ্টা করি।

যোগ দিন আন্দোলনে

আমাদের কর্মসূচি এবং উদ্যোগ

ক্লিনিক

আমরা চাই সরকার দেশের সমস্ত অধিবাসীর স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব নিক, সরকার বলে আধুনিক চিকিৎসার খরচ এতটাই বেশি যে তার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা আমাদের মডেল ক্লিনিক গুলো দিয়ে প্রমাণ করি যে চিকিৎসাবিজ্ঞানকে যুক্তিসঙ্গতভাবে ব্যবহার করলে খুব কম খরচে চিকিৎসা করা যায়। তাছাড়া আমাদের ক্লিনিকগুলো গণতান্ত্রিক পরিচালনারও মডেল। বর্তমানে শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগের ক্লিনিকগুলো চলে চেঙ্গাইল, চন্ডিপুর, পূর্ব চিল্কা, বেলিয়াতোড়, বারাসাত, অশোকনগর, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি ও মাথাভাঙ্গায়। স্বাস্থ্য শিক্ষা নির্মাণের ক্লিনিক সল্ট লেকের দত্তাবাদ বস্তি ও নৈহাটিতে।

প্রচার অভিযান

আমাদের প্রচার আন্দোলনে গুরুত্ব পায় সবার জন্য স্বাস্থ্যের দাবি। সরকার সমস্ত দেশবাসীর স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব নেবে, তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী, তাদের খরচ করার ক্ষমতা অনুযায়ী নয়--এমনটাই আমরা চাই। রোগের আর্থসামাজিক কারণগুলো সম্পর্কে মানুষকে জানানো আমাদের প্রচারের আরেকটা কাজ। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ও রোগ চিকিৎসার সহজ প্রযুক্তিগুলো আমাদের প্রচারে স্থান পায়। সভা- সমিতি -কর্মশালা ছাড়া আমাদের প্রচারের হাতিয়ার স্বাস্থ্যের বৃত্তে পত্রিকা, www.thedoctorsdialogue.com ওয়েব ম্যাগাজিন।

সামাজিক আন্দোলন

আমরা জানি আর্থসামাজিক অবস্থা না বদলালে মানুষের স্বাস্থ্যের অবস্থার উন্নতি হতে পারে না। তাই মেহনতি মানুষের অবস্থা বদলের আন্দোলনে আমরা পাশে থাকার চেষ্টা করি। স্বাস্থ্য মানে কেবল অসুখের অনুপস্থিতি নয়, স্বাস্থ্য মানে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ভালো থাকা। ভালো থাকতে গেলে প্রয়োজন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিসেবা, ইত্যাদি। আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন না হলে মানুষের স্বাস্থ্যের অবস্থাও বদলাতে পারে না। তাই শ্রমিক আন্দোলনের পাশে থাকা, কৃষক আন্দোলনের পাশে থাকা, উচ্ছেদ বিরোধী আন্দোলনের পাশে থাকা, গণতান্ত্রিক অধিকারের আন্দোলনের সঙ্গে থাকা...
কখনো সে আন্দোলন ভোপালে, কখনো ছত্তিশগড়ের দল্লি রাজহরা বা ভিলাইয়ে, কখনো পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম বা লালগড়ে...