আমরা জানি আর্থসামাজিক অবস্থা না বদলালে মানুষের স্বাস্থ্যের অবস্থার উন্নতি হতে পারে না। তাই মেহনতি মানুষের অবস্থা বদলের আন্দোলনে আমরা পাশে থাকার চেষ্টা করি। স্বাস্থ্য মানে কেবল অসুখের অনুপস্থিতি নয়, স্বাস্থ্য মানে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ভালো থাকা। ভালো থাকতে গেলে প্রয়োজন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিসেবা, ইত্যাদি। আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন না হলে মানুষের স্বাস্থ্যের অবস্থাও বদলাতে পারে না। তাই শ্রমিক আন্দোলনের পাশে থাকা, কৃষক আন্দোলনের পাশে থাকা, উচ্ছেদ বিরোধী আন্দোলনের পাশে থাকা, গণতান্ত্রিক অধিকারের আন্দোলনের সঙ্গে থাকা... কখনো সে আন্দোলন ভোপালে, কখনো ছত্তিশগড়ের দল্লি রাজহরা বা ভিলাইয়ে, কখনো পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম বা লালগড়ে...
পেডিয়াট্রিক সার্জারীর সিনিয়ার হাউসস্টাফ তখন। আউটডোরে একটা টেবিলের তিনদিকে আমরা তিনজন বসতাম—স্যার ডা পি কে সরকার, আরএমও সুমিত্রদা (বিশ্বাস) আর আমি। স্যার রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন ডিক্টেট করতেন, আমি লিখে নিতাম। একজন বাচ্চাকে দেখে স্যার যথাযথ মাত্রায় কোট্রাইমোক্সাজোল আর প্যারাসিটামল লিখতে বললেন, লিখলাম।
বলেছিলাম ১৯৭৯-এর হাসপাতাল আন্দোলন ছিল পরের দশকের এক বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি। মেডিক্যাল কলেজগুলোতে জুনিয়র ডাক্তাররা সংগঠিত হন হাউসস্টাফ-ইন্টার্ন অ্যাসোসিয়েশন (HIA) বা জুনিয়র ডক্টরস’ অ্যাসোসিয়েশন (JDA) নামের সংগঠনে। আমাদের কলেজের সংগঠন ছিল মেডিক্যাল কলেজ হাউসস্টাফ-ইন্টার্ন অ্যাসোসিয়েশন।
মেডিক্যাল কলেজে আমি ১৯৭৮-এর ব্যাচ। ক্লাস শুরু হয়েছিল ১৯৭৯-এর জানুয়ারীতে। শুরু থেকেই আমি মেডিক্যাল কলেজ ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস’ অ্যাসোশিয়েসনের সদস্য। এমসিডিএসএ ১৯৭৭-এ গড়ে উঠছিল আভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থার অবসানে, কলেজের গণতান্ত্রিক ও সমাজ-পরিবর্তনকামী ছাত্র-ছাত্রীরা এই সংগঠনের সদস্য।
মেডিকাল কলেজে হাউসস্টাফশিপ শেষ করে ভোপালের জন স্বাস্থ্য কেন্দ্র-এ কাজ শুরু করেছিলাম ১৯৮৫-র ২৫শে আগস্ট। ২৮শে আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিলেন জন স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে থায়োসালফেট সরবরাহ করতে।
Twenty-one years have passed by after the murder of Shankar Guha Niyogi in 1991, but the health movement he led, still remains a lighthouse for the peoples' health movement in India.
আগে অবস্থাটা ছিল অন্যরকম। বিপ্লবী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের একটি অংশ নিজের পেশা ছেড়ে রাজনৈতিক সংগঠনের সব সময়ের কর্মী হয়ে যেতেন। আর ওনারা ডাক্তারি পেশার থেকে সংগঠন সাহায্য করতেন কর্ম দিয়ে, সুলভে বা বিনা পয়সায় কিছু রোগী দেখে।
৩৪ বছর আগে, ১৯৮৩ তে পশ্চিমবাংলার জুনিয়র ডাক্তাররা স্লোগান তুলেছিলেন- 'স্বাস্থ্য কোন ভিক্ষা নয় স্বাস্থ্য আমাদের অধিকার'। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ ১৯৪৮ এর স্বাস্থ্যকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিলেও ভারতের সংবিধানে কিন্তু স্বাস্থ্যের অধিকার মৌলিক অধিকার হিসেবে
সম্প্রতি আদালতে ফায়সালা হয়ে গেল বিশ্বের বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা-ভূপাল গ্যাস কাণ্ডের। গ্যাসপীড়িতদের ক্ষুদ্র এক ভগ্নাংশ ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন। এবার ইউনিয়ন কার্বাইডের কয়েকজন অফিসারকে যৎসামান্য সাজা দেওয়া হলো। গ্যাসপীড়িতরা যাঁর শাস্তি চেয়েছিলেন- ইউনিয়ন কার্বাইডের তৎকালীন চেয়ারম্যান সেই ওয়ারেন্ অ্যান্ডার্সন অধরা রয়ে গেলেন।
১৯৯১ এ শংকর গুহ নিয়োগী শহীদ হওয়ার পর খবরের কাগজের পাতায় ব্যাপকভাবে জায়গা করে নিয়েছিল শহীদ হাসপাতাল ও দল্লী রাজ-হরার শ্রমিক স্বাস্থ্য আন্দোলন। পরে তা খবরের কাগজের পাতা থেকে হারিয়ে গেলেও, ভারতের নানা জায়গায় বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করে চলেছিলেন শহীদ হাসপাতাল আন্দোলন অনুসরণে।
গত ১৮ ই মার্চ, ২০০৭ রবিবার শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ, ডঃ ভাস্কর রাও জনস্বাস্থ্য কমিটি, পিপলস হেলথ, জনসাস্থ্য স্বাধিকার মঞ্চ, পিপলস রাইট টু হেলথ ও মেডিকেল কলেজ ডেমোক্রাটিক স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে ৬ জন ডাক্তার (২জন মহিলা ডাক্তার সহ) ৩জন জুনিয়র ডাক্তার, ৩জন সেবিকা ও ২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর একটি দল নন্দীগ্রাম, সোনাচুরা ও গোকুলনগররের অধিকারী পাড়ায় যান
এই ঘটে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলন এর বিশ্লেষণ করার সময় বারবার উঠে আসছে আরেকটি জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনের কথা। ৩৬ বছর আগে ঘটা সেই আন্দোলনটি অল বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফেডারেশনের নেতৃত্বাধীন আন্দোলন। ১৯৮৩ তে জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনের সময় আমি সবে মাত্র এমবিবিএস পাস করে ইন্টার্ন, আর ২০১৯ এর আন্দোলনের সময় সিনিয়র ডাক্তারদের সংযুক্ত মঞ্চের অন্যতম ঘটক আমার সংগঠন।
স্বাস্থ্য কেবল অসুস্থতার অনুপস্থিতি নয়, স্বাস্থ্য মানে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক ভাবে ভালো থাকা। খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের মতই প্রয়োজন স্বাস্থ্য-পরিষেবার। জমির অধিকার, জলের অধিকার, কর্ম-সংস্থানের অধিকারের মতো স্বাস্থ্যের অধিকারও জীবনের বিষয়, অনেক সময় বাঁচা-মরার প্রশ্ন।
বিশ্বের বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনার শহর ভোপাল- ২৮ বছর আগে যেখানে ডাক্তার হিসেবে জনস্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলাম। না, শেষ অবধি টিকে থাকতে পারিনি। প্রথম যাওয়া ১৯৮৫ ২ জুলাই, জ্যোতির্ময় সমাজদারের সঙ্গে। ৩ জুন ইউনিয়ন কার্বাইড প্রাঙ্গণে 'গণ হাসপাতাল-এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিল জনস্বাস্থ্য সমিতি।
২-৩ ডিসেম্বর ১৯৮৪ ভূপালের ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানা থেকে বিষ গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। আমার প্রথম ভূপাল যাওয়া তার সাত মাস বাদে ১৯৮৫ ২রা জুলাই। সে বছরই ৩রা জুন কারখানার প্রাঙ্গনে গ্যাসপীড়িতরা এক গণ হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
"অর্থনীতিবাদের অন্ধকার নয়, আর্থিক সংগ্রামের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তির অবলোকন চাই, চাই আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন শ্রমিকশ্রেণির প্রতিষ্ঠা, চাই নতুন সংস্কৃতির বিশুদ্ধ বাতাস, চাই বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়ন" -শংকর গুহ নিয়োগী।
(যে সব অভিনব আন্দোলনের জন্য দল্লী-রাজহরার শ্রমিক আন্দোলনের দিল্লী হয়ে উঠেছিল সেগুলোর অন্যতম - লোহাখনির মেশিনিকরণ-বিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলনের তীব্র শেষ পর্যায়ে আমি ছিলাম সেখানে। প্রতি সপ্তাহের রিপোর্ট লিখেছি মতপ্রকাশ পত্রিকার জন্য।
১৯৭৫-এ ছত্তিশগড়ের বড়ে বেদমা গ্রামে জন্ম সোনি সোরির। তাঁর বাবা ওই গ্রামেরই ভূতপূর্ব সরপঞ্চ মুন্দ্র রাম নিরক্ষর হলেও চাইতেন তাঁর ছেলে মেয়েরা পড়াশুনা করুক। এক নার্সিং কলেজে সোনি ভর্তি হন, কিন্তু পড়া শেষ করতে পারেননি। কলেজ ছেড়ে জবেলি গ্রামের এক মেয়েদের স্কুলে তিনি শিক্ষকতা করতে থাকেন।
মালিকের বিরুদ্ধে শ্রমিকের স্বার্থে লড়াই করতে গিয়ে 'real representative of the ancient proletariat' -স্পার্টাকাসের আত্মবলিদানের মাধ্যমে যে মহত্বম ধারার সূত্রপাত, শ্রেণী-বিভক্ত দুনিয়ায় আজও সে ধারা অব্যাহত। ভারত তথা দুনিয়া জুড়ে শত শত বছরে অসংখ্য মানুষের আত্মোৎসর্গে এই ধারা হয়েছে মহিমান্বিত।
ছত্তিশগড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শংকর গুহ নিয়োগী এক নতুন ধারার রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের প্রবাহ সৃষ্টি করেছিলেন। হত্যাকারীরা তাঁকে হত্যা করলেও তাঁর চিন্তার মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। নিয়োগীজীর চিন্তার প্রভাব ছত্তিশগড়ের সীমা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
১০ই জুন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রায় ২০০ মানুষ আক্রমণ করেন জুনিয়র ডাক্তারদের। দুজন জুনিয়র ডাক্তার গুরুতর আহত হয়। পরিবহ মুখোপাধ্যায় মাথার খুলির হাড় ভেঙে ভর্তি হয় ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সাইন্সেস কলকাতায় আর যশ টেকওয়ানি এন আর এস এর ই আই সি ইউ তে। পরিবহের সিটি স্ক্যান এর ছবি পরে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আজ থেকে বছর ৩০-৩৫ আগে আমরা যখন মেডিক্যাল ছাত্র, জুনিয়র ডাক্তার, কলকাতায় বড় প্রাইভেট হাসপাতাল বা নার্সিংহোম বলতে বোঝাতে দুটোকে - উডল্যান্ড'স আর বেল ভিউ। ছোটখাটো কিছু নার্সিংহোম ছিল কোন কোন পাড়ায় মূলত ডাক্তাররা যার মালিক।
৯০-এর দশকের গোড়ায় কানোরিয়ার শ্রমিক আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন, শ্রমিকরা ঠিক করেন যে তারা ছত্তিশগড়ের শ্রমিকদের মতো এক স্বাস্থ্য কর্মসূচি শুরু করবেন শহীদ হাসপাতালে ধাঁচে। ১৯৯৫ এর ২১শে মার্চ চেঙ্গাইলের বেলতলায় এক পরিত্যক্ত মুরগীর চালায় শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের শুরু।
১৯৮৪-র দিল্লি-দাঙ্গার হত্যাকারীদের অধিকাংশের এখনো শাস্তি হয়নি, শ্রমিক-নেতা শংকর গুহ নিয়োগীকে যারা হত্যা করেছিল ১৯৯১ এর নিম্ন আদালতে দণ্ডিত হওয়ার পরেও তারা উচ্চ আদালতে বেকসুর ছাড়া পেয়ে যায়। ১৯৯২তে যারা রাম মন্দিরের নাম রথ ছুটিয়ে বাবরি মসজিদ ভেঙেছিল তারা আইন-আদালতের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে।
"অর্থনীতিবাদের অন্ধকার নয়, আর্থিক সংগ্রামের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তির অবলোকন চাই, চাই আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন শ্রমিকশ্রেণির প্রতিষ্ঠা, চাই নতুন সংস্কৃতির বিশুদ্ধ বাতাস, চাই বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়ন" -শংকর গুহ নিয়োগী।
আজ থেকে ৩২ বছর আগে ১৯৮৩তে পশ্চিম বাংলার জুনিয়র ডাক্তাররা স্লোগান তুলেছিল - 'স্বাস্থ্য কোন ভিক্ষা নয়, স্বাস্থ্য আমাদের অধিকার'। আমাদের দেশে স্বাস্থ্যের অধিকার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র সংজ্ঞা অনুযায়ী 'স্বাস্থ্য কেবল অসুস্থতার অনুপস্থিতি নয় স্বাস্থ্য মানে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ভালো থাকা।
আমি ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়ার অল্প ক'মাস আগে ১৯৭৮ এর ৬-১২ সেপ্টেম্বর কাখাজ সোভিয়েত স্যোসালিস্ট রিপাবলিক-এর রাজধানী আলমা আটায়, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
दल्ली और राजहरा दो पहाड़ियों के नाम हैं। दल्ली पहाड़ी पर लोहे की तीन खदानें हैं - दल्ली, मयूरानी और झरनदल्ली। राजहरा पहाड़ी पर दो खदानें हैं राजहरा और कोकान। इन पांच खदानों के इर्द-गिर्द का जंगल काट कर पचास के दशक में दल्ली राजहरा खदान शहर बसाया गया था, जिसकी बर्तमान जनसंख्या लकभग एक लाख बीस हज़ार है।
बिगत दो-तीन सालो में भिलाई आंदोलन के दौरान भिलाई, टेडेसरा, कुम्हारी और उरला के मजदूरों में से कई कलाकार उभरे हैं, जो खुद गीत लिखते हैं, गाते हैं। इन कलाकारों की कला में क्रांतिकारी दिशा लाने के उद्देश्य से नियोगी ने मई १९९१ में राजहरा में दो-दिवसीय सांस्कृतिक प्रशिक्षण शिबिर का आयोजन किया था।
মেশিনের সঙ্গে মানুষের ঝগড়া অনেকদিনের, শিল্পবিপ্লবের পর একের পর এক নতুন নতুন মেশিন আবিষ্কার হতে থাকল, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হতে লাগল, কম বেশী প্রত্যেকটা মেশিনই বেশ কিছু মজুরের ছাঁটাইয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, নতুন কর্মসংস্থানের পথ অবরুদ্ধ করে, প্রথম যুগের শ্রমিকরা সেদিন শুরু করেছিলেন 'মেশিন ভাঙার লড়াই'।
আজ যা ঘটনা, কাল তা ইতিহাস হয়। কিন্তু ইতিহাস হওয়ারও ইতিহাস আছে। সে ইতিহাস হল, প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ, প্রামাণ্য দলিল-দস্তাবেজ। ভূপাল আজ অনেকটাই ইতিহাস, পৃথিবীর ইতিহাসে মর্মান্তিক এক অধ্যায়। তবু তার নেপথ্যে অনেক ঘটনা, অনেক শঠতা, অনেক প্রবঞ্চনা, অনেক লড়াই-এখনো অনুদ্ঘাটিত, জনসাধারণের অজানা।
আমার নিজের সংগঠন দুটো - শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। এই দুটো সংগঠন ছাড়া অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, হেলথ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এবং ডক্টরস ফর ডেমোক্রেসি নিয়ে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গল। আমাদের একটা ওয়েব ম্যাগাজিন আছে। দ্য ডক্টরস ডায়লগ ডট কম, যার শুরু ২০২০র পয়লা জানুয়ারি।
বিশ্বায়নের আক্রমণে যখন বিপন্ন জনস্বাস্থ্য, তখন স্বাস্থ্যের অধিকার অর্জনের জন্য প্রয়োজন গণ-আন্দোলন। ভারতে গণ স্বাস্থ্য আন্দোলনের বয়স বছর তিরিশ। সে আন্দোলনের নানান ধারা, সব ধারায় কি গণ চরিত্র আছে, স্বাস্থ্য আন্দোলনে কি ভূমিকা পালন করছেন সমাজ পরিবর্তনকামী শক্তিগুলো- এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনার এক প্রয়াস এই প্রবন্ধে।
Niyogi, a labor leader who became a legend in his lifetime, led a very creative trade union movement among iron ore miners of Central India during 1977-91, combining livelihood struggles with a health program, educational work, and a range of social reform and cultural regeneration activities.