আমরা চাই সরকার দেশের সমস্ত অধিবাসীর স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব নিক, সরকার বলে আধুনিক চিকিৎসার খরচ এতটাই বেশি যে তার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা আমাদের মডেল ক্লিনিক গুলো দিয়ে প্রমাণ করি যে চিকিৎসাবিজ্ঞানকে যুক্তিসঙ্গতভাবে ব্যবহার করলে খুব কম খরচে চিকিৎসা করা যায়। তাছাড়া আমাদের ক্লিনিকগুলো গণতান্ত্রিক পরিচালনারও মডেল। বর্তমানে শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগের ক্লিনিকগুলো চলে চেঙ্গাইল, চন্ডিপুর, পূর্ব চিল্কা, বেলিয়াতোড়, বারাসাত, অশোকনগর, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি ও মাথাভাঙ্গায়। স্বাস্থ্য শিক্ষা নির্মাণের ক্লিনিক সল্ট লেকের দত্তাবাদ বস্তি ও নৈহাটিতে।
১৯৮৩-র ৩রা জুন ছত্তিশগড়ের লোহা-খনি শহর দল্লী-রাজহরার ঠিকাদারী শ্রমিকরা শহীদ হাসপাতাল শুরু করেন। শহীদ হাসপাতাল থেকে অনুপ্রেরণা পেলেন পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার বেলুড়ের ইন্দো-জাপান স্টীলের শ্রমিকরা। ১৯৮৩-র ২রা অক্টোবর শুরু করলেন এক জনস্বাস্থ্য কর্মসূচী—শ্রমজীবী স্বাস্থ্য প্রকল্প। ৯০-এর দশকের শুরুতে এই প্রকল্প রূপ পেল বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালের। ছত্তিশগড়ের শ্রমিক আন্দোলন থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়া কানোরিয়া জুট মিলের শ্রমিকরা ১৯৯৪-এর ২রা অক্টোবর শপথ নিলেন এক স্বাস্থ্য কর্মসূচী গড়ে তোলার।
১৯৮৩-’৮৪, আমি তখন ইন্টার্ন। ইন্টার্নশিপ চলছে মেডিসিনে। ইউনিটের প্রধান ডা রায় চৌধুরী মেডিসিনের একটা ইউনিটের প্রধান ছাড়াও নিউরোলজির ইউনিট প্রধান। স্যার আমার জ্যেঠুর সহপাঠী ছিলেন মেডিক্যাল কলেজে। অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্র সংগঠন বিপিএসএফ-এর মেডিক্যাল কলেজ ইউনিট গড়ে তোলায় অভিনব ছিল তাঁর ভূমিকা। সরকারী চিকিৎসকদের সংগঠনের নেতা, সে সময়কার শাসক ফ্রন্টের বড় শরিকের ঘনিষ্ঠ। শেষ জীবনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচারয।
আশীষদা আমাকে দল্লী-রাজহরায় নিয়ে গেছিলো, ১৯৮৬-র ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আমি পৌঁছলাম, আশীষদাকে পারিবারিক কিছু কারণের বরাবরের জন্য শহীদ হাসপাতাল ছেড়ে আসতে হল সপ্তাহ দুয়েক পরে। আশীষদা যে কাজগুলো করত স্বাভাবিকভাবেই সে কাজগুলোর দায়িত্ব এসে পড়ল আমার ওপর।
পরিবারে বিভিন্ন প্রজন্মের ছয়জন সচ্ছল ডাক্তারকে দেখে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম...। মেডিকাল কলেজে ঢোকার পর মেডিকাল কলেজ ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস’ অ্যাসোশিয়েসন নতুন স্বপ্ন দেখতে শেখালো...ডা নর্মান বেথুন, ডা দ্বারকানাথ কোটনিসের মতো ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন...। কিন্তু কোথায় যাব? কোথায় স্পেনের জনগণের ফ্রাংকো-বিরোধী আন্দোলন, কোথায় চীনের মুক্তিযুদ্ধ? নিকারাগুয়ায় সান্দিনিস্তা সরকারের এক প্রতিনিধির কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলাম নিকারাগুয়ায় কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে, তার উত্তর এলো না। অবশেষে ডাক্তারী পাস করার তিন বছর পর শহীদ হাসপাতালে কাজ করতে যাওয়া।
পরিবারে বিভিন্ন প্রজন্মের ছয়জন সচ্ছল ডাক্তারকে দেখে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম...। মেডিকাল কলেজে ঢোকার পর মেডিকাল কলেজ ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস’ অ্যাসোশিয়েসন নতুন স্বপ্ন দেখতে শেখালো...ডা নর্মান বেথুন, ডা দ্বারকানাথ কোটনিসের মতো ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন...। কিন্তু কোথায় যাব? কোথায় স্পেনের জনগণের ফ্রাংকো-বিরোধী আন্দোলন, কোথায় চীনের মুক্তিযুদ্ধ? নিকারাগুয়ায় সান্দিনিস্তা সরকারের এক প্রতিনিধির কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলাম নিকারাগুয়ায় কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে, তার উত্তর এলো না। অবশেষে ডাক্তারী পাস করার তিন বছর পর শহীদ হাসপাতালে কাজ করতে যাওয়া।
AFTER THE MURDER OF Shankar Guha Niyogi in 1991. newspapers were flooded with eports of Shaheed Hospital and Shramik Swasthya Andolan. Doctors and health workers in many pare of India, particularly in West Benfollowed the lead given by the Shaheed Hospital after that. Now, once again people are expressing interest about Shaheed Hospital. The reason is ffat the person convicted for life under black laws by the Raipur district court on 29th December 2010, is an honourable staff who had been associated with the hospital from 14th. May 2001 to 20th May 2009-—doctor and human rights activist Dr Binayak Sen.
প্রয়াত শ্রমিক নেতা শঙ্কর গুহ নিয়োগীর নেতৃত্বে ছত্তিশগড়ে গড়ে উঠেছিল শহীদ হাসপাতাল এবং শ্রমিক স্বাস্থ্য আন্দোলন, তাঁর "সংঘর্ষ ও নির্মাণ" -এর তত্ত্বকে আধার করে। একইভাবে আরেকটি স্বাস্থ্য আন্দোলন গড়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গে কানোরিয়ার শ্রমিক উদ্যোগে।
আশির দশকের প্রথম ভাগটা ছিল স্বাস্থ্য আন্দোলনের ক্ষেত্রে এক ঘটনাবহুল সময়। কলকাতার মেডিকেল কলেজগুলোর জুনিয়র ডাক্তার ও ছাত্ররা হাসপাতালে সুচিকিৎসার দাবিতে স্লোগান তুলেছিল - " স্বাস্থ্য কোনো ভিক্ষা নয়, স্বাস্থ্য আমার অধিকার। "
আশির দশকের প্রথম ভাগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা প্রকাশ করে। এর পরেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সরকার বাজারে চালু অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর ওষুধগুলোকে নিষিদ্ধ করে।
শহীদ হাসপাতাল ভারতে প্রথম এমন এক হাসপাতাল যা গড়ে উঠেছে শ্রমিকদের অর্থে এবং সেচ্ছাশ্রমে, যার পরিচালনায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত শ্রমিকরা।
১৯৯৫ -এর ২১শে মার্চ হাওড়া জেলায় উলুবেড়িয়া মহকুমার চেঙ্গাইলে কানোরিয়া জুটমিলের সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই ভাতৃত্বমূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুরোধে তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছি আমরা।
आज से २२ साल पहले १९९१ में छत्तिश्गढ़ खदान मज़दूर संघ के नेता शंकर गुहा नियोगी की हत्या के बाद उनके द्वारा स्थापित शहीद अस्पताल और श्रमिक स्वास्थ्यो आंदोलन की अख़बारों में काफी चर्चा हुई थी।
প্রয়াত শ্রমিক নেতা শঙ্কর গুহ নিয়োগীর নেতৃত্বে ছত্তিশগড়ে গড়ে উঠেছিল শহীদ হাসপাতাল এবং শ্রমিক স্বাস্থ্য আন্দোলন, তাঁর "সংঘর্ষ ও নির্মাণ" -এর তত্ত্বকে আধার করে। একইভাবে আরেকটি স্বাস্থ্য আন্দোলন গড়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গে কানোরিয়ার শ্রমিক উদ্যোগে।
আগে আমি কাজ করতাম 'শহীদ হাসপাতালে'; প্রয়াত শ্রমিক নেতা শঙ্কর গুহ নিয়োগীর নেতৃত্বে ছত্তিশগড়ে দল্লী রাজহরার লোহা-খনি শ্রমিকদের গড়ে তোলা সে হাসপাতালের কাহিনী।
১৯৮৩-র ৩রা জুন ছত্তিশগড়ের লোহা-খনি শহর দল্লী-রাজহরার ঠিকাদারী শ্রমিকরা শহীদ হাসপাতাল শুরু করেন। শহীদ হাসপাতাল থেকে অনুপ্রেরণা পেলেন পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার বেলুড়ের ইন্দো-জাপান স্টীলের শ্রমিকরা। ১৯৮৩-র ২রা অক্টোবর শুরু করলেন এক জনস্বাস্থ্য কর্মসূচী—শ্রমজীবী স্বাস্থ্য প্রকল্প। ৯০-এর দশকের শুরুতে এই প্রকল্প রূপ পেল বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালের। ছত্তিশগড়ের শ্রমিক আন্দোলন থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়া কানোরিয়া জুট মিলের শ্রমিকরা ১৯৯৪-এর ২রা অক্টোবর শপথ নিলেন এক স্বাস্থ্য কর্মসূচী গড়ে তোলার।
নব্বই-এর দশকের শুরুতে বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের নির্দেশে স্বাস্থ্য-শিক্ষার মতো পরিষেবা ক্ষেত্রগুলো থেকে দেশের সরকার হাত গুটিয়ে নিতে থাকে, বেসরকারী স্বাস্থ্য ও শিক্ষা-ব্যবসায়ীদের মৃগয়াভূমি হতে থাকে ক্ষেত্রগুলো।
১৯৯৩ এর নভেম্বরএর শেষে কানোরিয়া শ্রমিক আন্দোলনের পাশে স্বেচ্ছাসেবি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্যোগে শ্রমিক স্বাস্থ্য শিবিরে রূপে যার শুরু, ১৯৯৫ এর ২০ শে মার্চ তা রূপ নেয় 'মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্র' এর।
কাজ শুরু করেছিলাম ১৯৯৫ এর ২০ মার্চ, হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমায় চেঙ্গাইল-বেলতলার এক মহানুভবা মহিলার ছোট্ট আউটহাউসে। কানোরিয়া জুট সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে শুরু শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্যকেন্দ্র।