আমাদের প্রচার আন্দোলনে গুরুত্ব পায় সবার জন্য স্বাস্থ্যের দাবি। সরকার সমস্ত দেশবাসীর স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব নেবে, তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী, তাদের খরচ করার ক্ষমতা অনুযায়ী নয়--এমনটাই আমরা চাই। রোগের আর্থসামাজিক কারণগুলো সম্পর্কে মানুষকে জানানো আমাদের প্রচারের আরেকটা কাজ। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ও রোগ চিকিৎসার সহজ প্রযুক্তিগুলো আমাদের প্রচারে স্থান পায়। সভা- সমিতি -কর্মশালা ছাড়া আমাদের প্রচারের হাতিয়ার স্বাস্থ্যের বৃত্তে পত্রিকা, www.thedoctorsdialogue.com ওয়েব ম্যাগাজিন।
আমি মেডিকাল কলেজে ১৯৭৮-’৮৩-র ব্যাচ। কলেজে ভর্তি হই যে বছর, সে বছর অর্থাৎ ১৯৭৮-এরই ৬-১২ সেপ্টেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়নের কাজাখিস্তানের রাজধানী আলমা আটায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আহ্বানে প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়ঃ HEALTH FOR ALL BY 2000 A.D.—২০০০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে বিশ্বের সমস্ত দেশের সরকার নিজ নিজ দেশের সমস্ত নাগরিকের স্বাস্থ্যরক্ষার দায়িত্ব নেবে।
In the ALMA ATA conference of 1977 on primary healthcare, the World Health Organization (WHO) declared the objective of 'Health for All by 2000 AD'. The declaration was signed by India also.
One has struck a hornets' nest. The May 27, 2012 episode of aaamir Khan's reality show 'Satyameva Jayate', simultaneously broadcasted in many of the television channels and in many Indian languages, has launched a severe attack on a very mighty system.
Bengal is the state where the Chief-Minister herself is the Health Minister. So one can expect that Health Care will get proper importance in policy. In February 2012 government
Essential medicines are among the most costeffective elements in modern health care and their potential health impact is remarkable. This year alone, there will be over 40 million deaths in developing countries, one-third among children under age five.
One has struck a hornets' nest. The May 27, 2012 episode of Aamir Khan's reality show 'Satyameva Jayate', simultaneously broadcast in many of the television channels and in many Indian languages, has launched a severe attack on a very mighty system.
Years ago that was my probationary period as a house-staff in a medical college hospital. I recollect a pathetic incident. A child, two to three years old and running very high fever, was brought to the paedriatics department.
In case of miscarriage or medical termination of pregnancy, a female employee can avail maximum 6 weeks leave with average pay from the date of miscarriage or termination of pregnancy
দেড়শ' বছর আগে ডেঙ্গি মহামারী এড়াতে বালক রবীন্দ্রনাথ এর পরিবার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ী ছেড়ে পেনেটি-র বাগানবাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। চলতি কথায় ডেঙ্গি বলা হলেও রোগটার আসল নাম ডেঙ্গি।
মধ্যবিত্ত বাবা-মার সন্তান আমরা দুই ভাই জন্মেছিলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আমি যখন ডাক্তারি ছাত্র বা জুনিয়র ডাক্তার তখনও মেডিকেল কলেজগুলোতে চিকিৎসার মান খারাপ ছিল না, নিন্মবিত্তরা তো বটেই,
( অসুখ বিসুখ পত্রিকার ৩৭ নং সংখ্যায় আমরা 'মেডিক্লেম' বা স্বাস্থ্যবীমার খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এবারে আমাদের আলোচ্য বিষয় 'ম্যানেজড হেলথ কেয়ার'। এই মুহূর্তে হয়তো আমাদের দেশে 'ম্যানেজড হেলথ কেয়ার' চালু হবে না,
প্রথমে পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের কথা হয়েছিলো সুন্দরবনে। সুন্দরবনের বাসিন্দা, বিজ্ঞানকর্মী, পরিবেশবাদীদের বিরোধিতায় সুন্দরবনে পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপিত হয়নি। রাজ্যের সরকার এবার পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য স্থান বাছাই করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হরিপুরে।
পাশের দেশ বাংলাদেশ তার জাতীয় ওষুধ নীতি তৈরি করেছিল ১৯৮২ সালে, যাতে দেশের মানুষ প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যক ওষুধগুলো পান, যাতে অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর ওষুধগুলো বাজারে না থাকে। বাংলাদেশ আমাদের অনুপ্রাণিত করে, আমরা আওয়াজ তুলি - 'ওষুদের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য ওষুধ'।
অগ্নাশয়ে ইন্সুলিন তৈরি হওয়া কমে গেলে বা বন্ধ হয়ে গেলে, অগ্ন্যাশয় থেকে ইন্সুলিন বেরোনো কমে গেলে বা বন্ধ হয়ে গেলে অথবা ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা কমে গেলে যে রোগ হয় তার নাম ডায়বেটিস মেলাইটাস বা মধুমেহ।
এই প্রবন্ধ যখন লেখা হচ্ছে তার সপ্তাহ খানেক আগে দিল্লীর মসনদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবার আসীন হয়েছে মোদী সরকার, ২০১৪ থেকে ২০১৯-এর পর এবার ২০১৯ থেকে ২০২৪। প্রথম এনডিএ সরকার
গত মাস ছয়েক ধরে তর্ক বিতর্ক চলছে সরকারি হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান নিয়ে। তৃণমূল সরকার স্বভাবতই এই পদক্ষেপকে জনমুখী প্রতিপন্ন করতে চাইছেন, বিরোধিতা করছে ওষুধের দোকানিদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বিসিডিএ,
যোজনা কমিশন দ্বারা সবার জন্য স্বাস্থ্যের লক্ষে নিযুক্ত উচ্চ-স্তরীয় বিশেষজ্ঞ দল ২০১১ সালে সুপারিশ করেছিল - স্বাস্থ্যখাতে সরকারি খরচ সামান্য (জিডিপি-র ০.৫%) বাড়িয়ে সবার জন্য বিনামূল্যে অত্যাবশ্যক ওষুধগুলো দেওয়া হোক।
২০০২-এ মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া তার কোড অফ এথিক্সে বলে - 'প্রত্যেক চিকিৎসকের যথাসম্ভব জেনেরিক নামে ওষুধ লেখা উচিত, তাঁর নিশ্চিত হওয়া উচিত যাতে তাঁর প্রেসক্রিপশন ও ওষুধের ব্যবহার যুক্তিসঙ্গত হয়'। পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিল কিন্তু তার কোড অফ এথিক্সে এই কথাটি বাদ দিয়েছিলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৭৭ সালের আলমা আটা সম্মেলন থেকে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করে - ২০০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য। সে ঘোষণায় সাক্ষর করেছিল আমাদের দেশও। ২০০০ পেরিয়ে এসেছি বছর ১২, এখনো সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় নি।
এক অতিমারি চলছে, করোনা ভাইরাসঘটিতো রোগের অতিমারি, যার কোনো ওষুধ নেই, টিকা নেই। রোগপ্রতিরোধের উপায় তাই সুরক্ষাবিধি মেনে চলা। কিন্তু আমাদের দেশে সত্যিই কি তা মেনে চলা সম্ভব? কতগুলো বিষয় না বললেই নয়।
জীবাণুনাশক -প্রতিরোধী জীবাণু দ্বারা সংক্রমণ সাধারণ চিকিৎসায় সারছে না, ফল - ভোগান্তি, অনেক সময় মৃত্যু। যক্ষ্মার জীবাণুর বিরুদ্ধে যখন সাধারণ যক্ষ্মার ওষুধ কাজ করে না, তখন সেই জজীবাণুর সংক্রমণে হয় বহু
ডাক্তারিতে ভর্তি হয়েছিলাম ১৯৭৮-এর শেষে। তার ক`মাস আগে ১৯৭৮-এর ৬-১২ সেপ্টেম্বর কাখাজ সোভিয়েত সোসালিষ্ট রিপাব্লিক-এর রাজধানী আলমা আটায়, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের
১৯৪৭ -এর পর যাঁরা ভারতের শাসনক্ষমতায় এসেছিলেন, তাঁরা কল্যাণকর রাষ্ট্রের কথা বলতেন। সরকার চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তুলেছিল - উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মহকুমা হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ।
২০১৮-র ১১ মে মেডিকেল কলেজ থেকে বৌবাজার-সেন্ট্রাল এভিনিউ ক্রসিং অবধি পথ চললো পাঁচশো মানুষের এক মিছিল। বিকেল ৬টায় মিছিল শুরুর আগেই আকাশ কালো করে ঝড় উঠেছিল, বৃষ্টি পড়ছিলো।
১লা ফেব্রুয়ারী ২০১৮ রাষ্ট্রীয় বাজেট পেশ করা হয়েছিল। ঘোষিত হয়েছিল এক নতুন স্বাস্থ্য প্রকল্প যার নাম দেওয়া হলো National Health Protection Scheme (NHPS)। বলা হলো দেশের ১০ কোটি গরিব পরিবার
২০০৮-এর ১লা এপ্রিল দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষদের জন্য ভারত সরকার রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বীমা যোজনা RSBY নাম এক স্বাস্থ্য বীমা চালু করে। অন্যান্য স্বাস্থ্য বীমায় যার নাম বীমা তাকে প্রিমিয়াম দিতে হয়। এই বীমায় কিন্তু সরকার সেই 'প্রিমিয়াম' দিয়ে দেয়।
'সবার জন্য স্বাস্থ্য' বা 'Health for All' -এর অর্থ হলো দেশের সরকার সমস্ত নাগরিকের স্বাস্থ্য-রক্ষার দায়িত্ব নেয়। অসুস্থ হলে কোন ডাক্তার দেখবেন সেটা ঠিকই করা আছে। অথচ তার জন্য কোনো খরচ নেই।
২০১১ -এ তৃণমূল সরকার গঠনের পর থেকেই স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর হাতে, তাই সরকারি নীতি-নির্ধারণে স্বাস্থ্য যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে, এমনটাই আশা করেছিলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু কি মিলল ?
১৯৭৮-এ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে ৬-১২ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কাখাজ সোভিয়েত সোসালিষ্ট রিপাবলিকের রাজধানী আলমা আটায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়েছিল।
স্বাস্থ্য মানেই চিকিৎসা নয় - একথা সত্যি, কিন্তু অসুখ হলে চিকিৎসা দরকার, আর সেই চিকিৎসায় বড়ো ভূমিকা ওষুধের। খরচের হিসেবে যদি দেখি - চিকিৎসার মোট খরচের একটা বড়ো অংশ (৭০ থেকে ৮০ শতাংশ) জুড়ে থাকে ওষুধের দাম।
১৯৪৭ এর পর জনকল্যাণকর রাষ্ট্র নাগরিকের স্বাস্থ্যরক্ষার দায়িত্ব নেবে এমনই একটা ধারণা ছিল। যদিও আমাদের দেশের সংবিধানে স্বাস্থ্য মৌলিক অধিকার নয়। ১৯৭৮এ আলমা আটা সম্মেলনে ২০০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যের ঘোষণায় স্বাক্ষর করলো দেশের সরকার।
পয়সা না থাকলে ডাক্তার দেখানো যাবে না - ওষুধ কেনা যাবে না। ডাক্তার অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখলেও আপনি কিনতে বাধ্য। প্রয়োজনীয় ওষুধটা জেনেরিক বা কমদামি ব্রান্ডে পাওয়া গেলেও ডাক্তার লিখবেন দামী ব্র্যান্ড। যে পরীক্ষা - নিরীক্ষা করতে বলা হলো আপনাকে,
১৯৯১ থেকে সরকার স্বাস্থ্যসহ পরিষেবা ক্ষেত্রগুলো থেকে সরে আসা শুরু করে। সরকারি পরিষেবা, যা আগে পাওয়া যেত বিনামূল্যে, তার জন্য মূল্য ধরে দিতে হওয়া শুরু হয়, এই মূল্যের পোষাকী নাম ইউজার'স ফি অর্থাৎ পরিষেবা - ব্যবহারকারীর প্রদেয় অর্থ।
বামফ্রন্ট সরকারের জমানায় সরকারী স্বাস্থ্যপরিষেবার ক্রমাবনতি নিয়ে আমরা কম সমালোচনা করিনি - কিভাবে সরকার স্বাস্থ্যপরিষেবা থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে গিয়েছিল, কিভাবে চিকিৎসাপরিষেবা পুঁজিপতিদের অবাধ মৃগয়াক্ষেত্রে পরিণত হতে থাকল -
স্বাস্থ্য মানে কেবল চিকিৎসা পরিষেবা নয়, কিন্তু রোগীর চিকিৎসা করে এমন একজন চিকিৎসক হিসাবে আমি পশ্চিমবঙ্গ চিকিৎসা পরিষেবা, বিশেষত সরকারী চিকিৎসা পরিষেবাতেই আমার আলোচনা সীমিত রাখবো।
পয়সা নেই ? তাহলে ডাক্তার নেই, ওষুধও নেই। ওষুধ কিনবেন ? একই ওষুধ পাওয়া যায় বিভিন্ন নামে, বিভিন্ন নামে। ডাক্তার যদি দামী ব্রান্ডের ওষুধ লেখেন সেটা কিনতেই আপনি বাধ্য। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন ? কোথা থেকে করবেন তা ডাক্তার বলে দেবেন, যতো দামী ডায়াগনস্টিক সেন্টার হয়ত ততো বেশী কমিশন ঢুকবে ডাক্তারের পকেটে।
১৯৭৭-এ তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের আলমা আটায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরিষেবা নিয়ে এক কনফারেন্স বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা '২০০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য'-এর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল অর্থাৎ সকল দেশের সরকার ঐ সময়ের মধ্যে নিজ নিজ দেশের সমস্ত নাগরিকের স্বাস্থ্যরক্ষার দায়িত্ব নেবে।
চিকিৎসার জন্য যে খরচ হয়, তার একটা ছোট অংশ যায় ডাক্তারের ফি বাবদ, তার চেয়ে একটু বড় অংশ যায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পেছনে, আর সবচেয়ে বড় খরচটা হয় ওষুধ কিনতে গিয়ে। চিকিৎসার মোট খরচের একটা বড় অংশ (৭০ থেকে ৮০%) জুড়ে থাকে ওষুধের দাম। চিকিৎসার খরচ যোগাতে দারিদ্রসীমার নীচে নেমে যায় রোগীর পরিবার।
২০১১র শেষে High Level Expert Group on Universal Health Coverage এবং ২০১২ এ যোজনা কমিশনের প্ল্যান ডকুমেন্ট প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলার কিছু মানুষজন দলিলদুটি নিয়ে পড়াশোনা, আলাপ আলোচনা শুরু করেন। জনসাধারণের কাছে দলিলদুটির মূল বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য People for Healthcare নামের এক নেটওয়ার্ক গড়ে প্রচার শুরু করা হয় ২০১৩র শুরু থেকে।
আমাদের দেশে মেডিক্লেম, অর্থাৎ ব্যক্তি প্রিমিয়াম দিয়ে বীমা কিনবেন, এমনটা প্রথম দেখা যায় ১৯৮৬ সালে। স্বাস্থ্য বিমায় বেসরকারি অনুপ্রবেশ ১৯৯৯ সালে। আর সরকার বিমা প্রিমিয়াম দিচ্ছেন এমনটা প্রথম দেখা যায় কর্নাটকে ২০০৩ সালে। প্রকল্পের নাম ছিল 'যশস্বিনী হেলথ ইন্সুরেন্স'।